Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

ভিশন ও মিশন

সামগ্রিক মহাপরিকল্পনা
ক) দেশের প্রত্নসম্পদ সংরক্ষণ, রক্ষণাবেক্ষন ও গবেষণার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরকে ঢেলে সাঁজাতে  হবে। এর কার্যক্রম প্রতিটি জেলায় না হলেও অন্তত বৃহত্তর জেলা পর্যায়ে  সম্প্রসারিত করতে হবে। বৃহত্তর জেলাসমূহে এর কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা সম্ভব হলে সার্বিক কার্যক্রমে যেমন গতিশীলতা আসবে তেমনি সংরক্ষণ কার্যক্রমও যথেষ্ট জোড়দার হবে। সরকারী কর্ম উদ্যোগের পাশাপাশি আমাদেরকে বিভিন্ন ব্যক্তি সংস্থা তথা বেসরকারী উদ্যোগ ও পৃষ্ঠপোষকতা কে স্বাগত জানাতে হবে।

খ) প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরকে পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাথে একীভূত করে “পর্যটন ও প্রত্নসম্পদ মন্ত্রণালয়” করতে হবে।

গ) দুর্যোগ মহাপরিকল্পনায় পুরাকীর্তি সমূহ অন্তর্ভুক্ত করণঃ বাগেরহাট দুর্যোগ প্রবণ ও দুযোর্গকবলিত এলাকা হিসেবে পরিচিত। প্রতিবছরই এখানে কোন না কোন প্রলয়ংকারি ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছাস ও সাইক্লোন আঘাত হানে। তাছাড়া দুর্যোগ প্রবণ এই অঞ্চলটি ভূমিকম্পের ঝুঁকিমুক্ত এলাকাও নয়। বাগেরহাটের পুরকীর্তি সমূহকে দূযোর্গের কবল থেকে সুরক্ষায় অধিদপ্তরের তরফ থেকে কোন প্রকার প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা (চৎবাবহঃরাব গধরহঃবহধহপব) গ্রহণের কোন সুযোগ নেই। এককথায় নিদর্শনগুলো অতিমাত্রায় দুর্যোগের ঝুঁকির মধ্যেই আছে।

ঘ) বৈশ্বিক আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনে বিরূপ প্রভাব (ওসঢ়ধপঃ ড়ভ এষড়নধষ ঈষরসধঃরপ ঈযধহমব). প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক আবহাওয়া ও জলবায়ু বাগেরহাটের পুরাকীর্তির উপর বিরূপ প্রভাব প্রতিফলিত হচ্ছে। অনেক পুরাকীর্তি অতিমাত্রায় লবণাক্ততার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বৈশ্বিক আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনে কিংবা তাপমাত্রা বৃদ্ধি জনিত কারণে পুরাকীর্তির উপর কি বিরূপ প্রভাব ফেলছে তা নিয়ে (চধষবড়-বহারৎড়হসবহঃ, চধষবড়-পষরসধঃব) জরুরী ভিত্তিতে উচ্চতর গবেষণা প্রকল্পসহ এবিষয় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ প্রয়োজন।

ঙ) পর্যটন শিল্পের প্রভাবক হিসেবে দেশের প্রত্নসম্পদ সংরক্ষণ ও সুরক্ষা ও উন্নয়নের দিকে জোর দিতে হবে। অবকাঠামোগত উন্নয়ন, সড়ক ও রেল যোগাযোগ নেটওয়ার্ক, ইন্টারনেট ও ওয়াইফাই সেবা তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দিতে সমন্বিত উদ্যোগ ও পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।

ভবিষ্যৎ পর্যটন সম্ভাবনা ও বর্তমান সরকারের কতিপয় যুগান্তকারী পদক্ষেপ
১। পদ্মা সেতু
2020 সালের মধ্যে পদ্মাসেতু নির্মিত হলে এ অঞ্চলের পর্যটন সম্ভাবনায় নতুন দ্বার উন্মোচন করবে। এ সেতু নির্মিত হলে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের সাথে সড়ক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠিত হবে। এ অঞ্চলে পর্যটকদের সমাগম বৃদ্ধির পাশাপাশি পর্যটন খাতে উত্তরোত্তর আয় বৃদ্ধি পাবে। স্বপ্নের পদ্মসেতু বাগেরহাটসহ সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনীতি পর্যটন শিল্পখাতে অপার সম্ভাবনার সুযোগ সৃষ্টি করবে।

২। খানজাহান আলী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
বাগেরহাটের রামপাল প্রস্তাবীত খানজাহান আলী আন্তর্জাতিক বীমানবন্দর বাস্তবায়িত হলে এ অঞ্চলের আর্থসামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি পর্যটন প্রসারে নাটকীয় পরিবর্তন ঘটবে। রামপালে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রতিষ্ঠা হলে এ অঞ্চলে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীন রুটে বিমান চলবে। দেশী-বিদেশী পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি পর্যটন খাতে বিদেশী বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে। এরফলে এ অঞ্চলে পযর্টন শিল্পের ব্যাপক উন্নয়ন ঘটবে।

৩। খুলনা-কাটাখালী-মংলা রেল যোগাযোগ
খুলনা থেকে মংলা পর্যন্ত রেল যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হলে এ অঞ্চলের যোগযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন সূচিত হবে। এর ইতিবাচক প্রভাব এ অঞ্চলের পর্যটন খাতেও প্রতিফলিত হবে। যা এ অঞ্চলের পর্যটন সম্ভাবনাকে আরো বাড়িয়ে দেবে।

৪। মংলাপোর্ট আধুনিকায়ন
বাংলাদেশের ২য় বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর হিসেবে মংলাপোর্ট উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন করা হলে এ অঞ্চলে মালামাল ও পণ্য পরিবহনে যে নতুন অধ্যায়ের সৃষ্টি করবে তা এ অঞ্চলের আর্থসামাজিক ও উন্নয়নে প্রভাব ফেলবে।

৫। সড়ক যোগাযোগের নেটওর্য়াক আধুনিকায়ন
পদ্মাসেতু নির্মাণ ও বাগেরহাটে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রতিষ্ঠিত হলে সঙ্গত কারণেই এ অঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে। উন্নত সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা হলে স্বাভাবিক ভাবে এ অঞ্চলে পর্যটকদের আকৃষ্ট করবে। তারা এ অঞ্চলকে পর্যটনের জন্য বেছে নেবে।

৬। রামপালে কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র
বাগেরহাট জেলার রামপালে কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হলে এ অঞ্চলে ইপিজেড, নানা কল-কারখানা শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠার পাশাপাশি অর্থনৈতিক পর্যটন সম্ভাবনার নতুন ক্ষেত্র তৈরী হবে।